বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
অনুসন্ধান ২৪ >> আমাদের সৌন্দর্যের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে চোখ। যার চোখ যত পটলচেরা, সে ততই সুন্দর। তবে মায়াবী নয়নের চারধারে যদি কালো দাগ পড়ে তাহলে সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটে! আজকাল অল্প বয়সে অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর বয়স বাড়লে তো কথাই নেই।
আধুনিক জীবনযাপনের চাপে ক্রমশ চোখের ধারে বাড়ছে ডার্ক সার্কেল। ইদানীং কাজের চাপ, উদ্বেগ, ঘন ঘন রাত জাগার ফলে বাড়ছে চোখের তলায় কালির পড়ার সমস্যাও। কিভাবে দূর করবেন এসব কালো দাগ, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
ত্বকের রঙের গাঢ়ত্ব নির্ভর করে মেলানিন নামক একটি রঞ্জকের ওপর।
যার যত বেশি মাত্রায় মেলানিন থাকবে, তার ত্বক তত কালচে হবে। চোখ ও চুলের রং কালো হওয়ার পেছনেও ভূমিকা রয়েছে এই রঞ্জকের। অনেকের চোখের চারপাশে এই রঞ্জক অনেকটা বেশি পরিমাণে জমা হয় তাই সেই নির্দিষ্ট জায়গার ত্বকের রং গাঢ় খয়েরি হয়ে যায়। যা ডার্ক সার্কল হিসেবে দেখা দেয়।
যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই এই ডার্ক সার্কেল খুব অস্বস্তিকর। যার জন্য নামিদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময় লাভ হয় না। আর তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ করে ঘরোয়া টোটকা। এক্ষেত্রে তিনটি জিনিসের মিশ্রণে তৈরি প্যাকের সাহায্যে ডার্ক সার্কেল দূর করতে পারবেন।
ডার্ক সার্কেলের কারণ
অপর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া চোখের তলায় কালির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকে। যেমন অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কারো যদি হঠাৎ করে ওজন কমে, তবে শরীরের অনেক রকম প্রক্রিয়াগত অসুবিধাও হয়। ফলে ডার্ক সার্কেল দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া অ্যালার্জি থেকে কিংবা চোখের অনেকের জন্মগত কারণেও ডার্ক সার্কেল হয়। আবার অনেক সময় শরীরে রক্ত চলাচলের ওপরও নির্ভর করে ডার্ক সার্কেল।
কিভাবে তৈরি করবেন
প্যানে এক চামচ হলুদ নিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন।
হলুদ খানিকটা বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে এক চামচ রোস্ট করা হলুদ নিন। তাতে আধ চামচ কফি পাউডার ও এক চামচ অ্যালোভেরা জেল দিন। এগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি চোখের তলায় খানিকক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ডার্ক সার্কেল গায়েব হবে।
এ তো গেল সাধারণ কারণ। মূলত অনিদ্রা বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়াটা কিন্তু অনেক রকম গুরুতর রোগের পূর্বাভাস হতে পারে। যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতা বা ক্যান্সার। রক্তাল্পতা হলে ত্বকের কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন বেড়ে যায়। আর কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন কমে গিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ফলে চোখের কালি আরো স্পষ্ট বোঝা যায়। এ ছাড়া চোখে কোনো আঘাত লাগলেও এমন হতে পারে।সূত্র : আজকাল